0
  Login
ফেসবুক মার্কেটিং এর প্রধান ৫ টি চ্যালেঞ্জ এবং সেগুলোর সমাধান

ফেসবুক মার্কেটিং এর প্রধান ৫ টি চ্যালেঞ্জ এবং সেগুলোর সমাধান

মেরি স্মিথ একজন বিশ্ব বিখ্যাত ফেসবুক মার্কেটিং এক্সপার্ট, তাকে ফেসবুক মার্কেটিং এর রানী বলা হয়। তিনি খুব সম্প্রতি ফেসবুক মার্কেটিং বিষয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করেন – যাদের প্রত্যেককে একটি সাধারণ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো।

“ফেসবুক দ্বারা বিজনেস পরিচালনা বা বেচাকেনা করার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো আপনাদের কাছে প্রধান বাধা বলে মনে হয়?”

প্রায় দুই হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর উত্তর তিনি পেয়েছিলেন, সেখান থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পরে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ তিনি সামনে নিয়ে আসেন,

  1. আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করা
  2. সঠিক টার্গেট অডিয়েন্স খুঁজে বের করা
  3. কমে যাওয়া অর্গানিক রিচের সাথে মানিয়ে নেওয়া
  4. কাস্টমারদের এঙ্গেজ করে রাখা
  5. ক্রমাগত ফেসবুকের আপডেট এর সাথে আপটু-ডেট থাকা

এছাড়াও আরো ১৫ টি বিষয় এই জরিপে উঠে এসেছিল সেগুলো হচ্ছে,

  1. ফেসবুক অ্যাড থেকে সেল নিয়ে আসা
  2. ভিডিও অ্যাড তৈরি করা
  3. ফেসবুক লাইভ এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট সেল করা
  4. ফেসবুকের বিজনেস করতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়া
  5. ফেসবুকের কোন মেট্রিক্স গুলো বিজনেস বাড়াতে সহায়ক সেগুলো না বুঝে ওঠা
  6. ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার সম্পর্কে সঠিকভাবে না বোঝা
  7. ফেসবুক পোস্টগুলো  রিজেক্ট হওয়া
  8. সঠিক স্ট্রাটেজি সম্পর্কে না বোঝা
  9. অ্যাড এর খরচ বেড়ে যাওয়া
  10. ফেসবুকের অ্যালগরিদম চেঞ্জ হাওয়াতে সমস্যার সম্মুখীন হওয়া
  11. ফেসবুকের অ্যাড বাজেট সম্পর্কে ধারণা না থাকা
  12. আদর্শ টার্গেট অডিয়েন্স গ্রুপ তৈরি করতে সক্ষম না হওয়া
  13. সেলস ফানেল তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়া
  14. নিয়মিত সেল ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়া
  15.  ফেসবুক বিজনেসে নতুন হওয়ায় কোথা থেকে শুরু করতে হবে সে বিষয়ে ধারণা না থাকা

প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত পাঁচটি প্রধান কারণ এবং এর সমাধান বিষয়ে আজকের আলোচনা।

সমস্যা নম্বরঃ ১

কন্টেন্টঃ আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করা

ফেসবুক দিয়ে বিজনেস পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা প্রধান যে সমস্যাটির সম্মুখীন হন সেটি হচ্ছে আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করা।

কন্টেন্ট তৈরি বিষয়ে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কিছু ব্যক্তিগত অভিমত নিম্নরূপ,

  • আমি জানিনা ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য কিভাবে আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করতে হয়।
  • ফেসবুকে অ্যাড দেবার ক্ষেত্রে কোন ধরনের কন্টেন আমি তৈরি করবো?  সেটিকে অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন হবে নাকি কনভার্শন? এগুলোর মধ্যে সঠিক ব্যালেন্স কিভাবে নির্ধারণ করা যায়?
  • একটি দুর্দান্ত অফার কিভাবে তৈরি করা যায়, যেন কাস্টমার কেনাকাটায় উৎসাহিত হয়।
  • “অডিয়েন্স এঙ্গেজ হবে এমন ধরনের কনটেন্ট কিভাবে তৈরি করব?
  • আমার কনটেন্টের জন্য সঠিক হুক পয়েন্ট, ছবি এবং বিষয় কিভাবে নির্ধারণ করবো যেন কাস্টমার আমার  সেলস ফানেল এর সাথে যুক্ত হতে পারে?

প্রতিবারই ফেসবুকের জন্য এমন একটা কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যেটি সম্পূর্ণ নতুন এবং অথেন্টিক। আপনাকে সত্যি কারের মানুষের গল্প বলতে জানতে হবে।

কাস্টমারদের একটি জার্নির মধ্যে দিয়ে নিয়ে গিয়ে  প্রোডাক্টের সুবিধা-অসুবিধার সাথে ইমোশোনাল অ্যাটাচমেন্ট গড়ে তুলুন।

এজন্য ভিডিও কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে ফেসবুক লাইভ দারুন একটি মাধ্যম ।

যখন কেউ একজন নিজেকে বিক্রেতা হিসেবে সামনে নিয়ে আসে, তখন তার ক্রেতারা তাকে ছেড়ে যায়, তাই প্রথমে আপনি একজন ক্রেতার মত চিন্তা ভাবনা করুন তারপরে বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত হোন।

এই কথাটি বলার থেকে করে দেখানো অনেক কঠিন। যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি কন্টেন কাস্টমারদের কেনার জন্য জোর করে, তখন কাস্টমার সেটি কিনতে চায় না।

এটি সকল ধরনের বিজনেসের জন্য সত্য।

মার্ক জুকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুক অ্যাড এর উদ্দেশ্য তখনই সাধিত হয়, যখন একটি কনটেন্ট অডিয়েন্সদের জন্য প্রাসঙ্গিক হয় এবং তারা সেটি পছন্দ করে।

ফেসবুক বিজ্ঞাপনের একটি বড় ভুল হচ্ছে বিক্রেতারা কাস্টমারদের সরাসরি সেলস পেজে নিয়ে আসে এবং তারা হতাশা পোষণ করে এই বলে যে কেন তাদের পেজে এনগেজমেন্ট এত কম?

আপনি একবার ভাবুন তো, যাকে আপনি আগে থেকে জানেন না তার সাথে আপনি কি এঙ্গেজ হবেন?

এটি বোঝা দরকার, খুবই সামান্য সংখ্যক অডিয়েন্সই প্রথম বারেই একটি ফেসবুক অ্যাড দেখে কেনাকাটা করে।

অনেক সময় খেয়াল করবেন, ফেসবুকে কোন একটি কনটেন্ট দেখতে গিয়ে আপনার ভালো লেগেছে এবং সেটিতে থাকা সার্ভিস ফরম সাইনআপ করেছেন, কিন্তু যখনই  আপনার কাছে পেমেন্ট চাওয়া হয়েছে, আপনি সেটি সম্পন্ন না করেই সেখান থেকে বের হয়ে গেছেন।

হয়তো কখনো কখনো কম মূল্যের জন্য কোন একটি অফার ফরম সাইনআপ করেছেন, কিন্তু আপনি প্রথমবারেই সেটির জন্য টাকা পরিশোধ করেন নি।

একটু ভেবে দেখুন যে অ্যাডগুলো আপনার জন্য প্রাসঙ্গিক, সেটিতে আপনি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এঙ্গেজ হয়েছিলেন, আর যেটি আপনার জন্য প্রাসঙ্গিক নয় সেই অ্যাডগুলো দেখে বিরক্ত বোধ করেছেন।

সমস্যা নম্বরঃ ২

অডিয়েন্সঃ আদর্শ টার্গেট কাস্টমার খুঁজে পাওয়া

ধরুন, আপনি একটি দারুন কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, তারপর?

আপনার মেসেজটি যাদের কাছে পৌঁছে দিতে চান তাদেরকে কিভাবে খুজে বের করবেন? সেটি অর্গানিক অথবা পেইড মার্কেটিং যেভাবেই হোক না কেন।

পরিচালিত জরিপে এই সম্পর্কে প্রাপ্ত সমস্যাগুলো সম্পর্কে একটু জানি,

  • ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য কিভাবে টার্গেট ঠিক করতে হয়?
  • সঠিক টার্গেট অডিয়েন্স খুঁজে পাবো কীভাবে ?
  • কিভাবে একটি কনটেন্টের জন্য সঠিক অডিয়েন্স খুঁজে পেতে পারি  ভুল অডিয়েন্স খুঁজতে গিয়ে সময় নষ্ট না হয়?
  • অ্যাড টার্গেটিং অপশন গুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে এবং সেটা নিয়ে আমরা খুবই হতাশ।
  • সঠিকভাবে টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করা দুরূহ। প্রতিবার যখন অডিয়েন্স টার্গেট করা হচ্ছে, তখন সেটি হয় খুব বড় হয়ে যাচ্ছে অথবা ছোট  হয়ে যায়।
  • বিজনেসের জন্য আদর্শ নিস খুঁজে পায় না।

এ ধরনের সমস্যার অনেকগুলি কারণ রয়েছে,  প্রথমত আপনাকে জানতে হবে কাকে টার্গেট করতে চান। দ্বিতীয়তঃ আপনাকে জানতে হবে কিভাবে তাদের কাছে পৌঁছাবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কনসাল্টিং কাজ করতে গিয়ে স্মিথ এবং তার পার্টনার একটি বিষয় চিহ্নিত করেন।  সেটি হচ্ছে বিপণনকারীরা তাদের আদর্শ কাস্টমারদের বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না।

আপনার কাস্টমারদের সম্পর্কে যথাসম্ভব গভীর ভাবে জানতে হবে। অ্যাডের জন্য অডিয়েন্স টার্গেট করতে নিচের বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,

ডেমোগ্রাফিকঃ  বয়স, শিক্ষা, পেশা, রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস, জব টাইটেল ইত্যাদি।

লোকেশনঃ  শহর, বিভাগ, নগর ইত্যাদি

ইন্টারেস্টঃ  জীবনযাত্রা, শখ, পছন্দ ইত্যাদি

বিহেভিয়ারঃ  কেনাকাটা সংক্রান্ত আচরণ, পূর্বের কেনাকাটার ধরন, নির্দিষ্ট কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রতি আগ্রহ ইত্যাদি।

আপনি যদি ১০০% অর্গানিক কনটেন্ট তৈরি করেন এবং ফেসবুক অ্যাড পরিচালনা করার পরিকল্পনা না থাকে, তারপরেও পরিস্কার ভাবে জানতে হবে আপনি কার জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন।

আপনি যখন পরিষ্কার ভাবে জানবেন, আপনি কাদের নিকট আপনার মেসেজ পৌঁছাতে চান, তাহলে সেটি আপনাকে দুর্দান্ত একটি কন্টেন্ট তৈরি করতে সহায়তা করবে। যা কাঙ্খিত টার্গেট অডিয়েন্সদের কাছে বিজনেসের বার্তাটি পৌঁছে দিতে সক্ষম।

সঠিক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের আগ্রহ সম্পর্কে জানতে একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।  আপনি ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজারে  লগইন করুন এবং সেখান থেকে অডিয়েন্স টার্গেটিং অপশনে যান।

এবার একটি খাতায় আপনার অডিয়েন্সদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত কমন তথ্যগুলো লিখে ফেলুন। তারপর তাদের মিলে এমন  টার্গেটিং প্যারামিটার গুলো অ্যাড ম্যানেজার দ্বারা সিলেক্ট করুন।

এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে, আপনার  টার্গেট অডিয়েন্স এর জন্য কি ধরনের টার্গেটিং প্যারামিটার সেট করবেন? যা আপনাকে আদর্শ অডিয়েন্স গ্রুপের কাছে নিয়ে যাবে।

সমস্যা নম্বরঃ ৩

রিচঃ  ফেসবুকের লো-অর্গানিক রিচের সাথে মানিয়ে নেওয়া

২০১২ সালের পর থেকে ফেসবুকের অর্গানিক রিচ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। প্রথমদিকে এর গতি ধীর হলেও সম্প্রতি এটি রাতারাতি অনেক বেশি কমে যায়।

বর্তমান সময়ে এসে বিজনেস পেজ গুলোর জন্য অর্গানিক রিচ মাত্র ১ থেকে ৬ শতাংশ।  বিপণনকারীরা একসময় লো অর্গানিক রিচের ফাঁদে আটকে যায়। কিন্তু বর্তমান সময়েও বেশি পরিমাণ অর্গানিক রিচ পাওয়া সম্ভব।

জরিপে কাস্টমারেরা এই সম্পর্কিত যে মন্তব্যগুলো করেছিলো,

  • রিচ একেবারে কমে গেছে
  • দৃশ্যমানতার অভাবে পোস্টগুলাতে দর্শকদের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। ফেসবুক এগুলো বেশি মানুষদের সামনে প্রমোট করছে না।
  • আমাদের বিজনেস পোষ্টগুলো দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে
  • লাইক, শেয়ার এবং ফলোয়ার পাওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই আমি এগুলোর জন্য সময় নষ্ট করা ছেড়ে দিয়েছি। এখন শুধুমাত্র আমার ফেসবুক  আইডি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করি।
  • কিভাবে আমি আমার পোস্টগুলো কাস্টমারদের নিউজফিডে নিয়ে যেতে পারি?
  • কোন ফলোয়ার গুলো আমার পোস্ট দেখছে এবং কারা দেখছে না সেটি জানা আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে সাধারনত দুই ধরনের বিপণনকারী রয়েছেন

এক ধরনের বিপণনকারীরা কিভাবে অর্গানিক রিচ পেতে হয় সে সম্পর্কে ভালভাবে জানেন এবং অন্য শ্রেণির বিপণনকারীরা সঠিক ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তাদের রিচ এবং এঙ্গেজমেন্টকে বাড়িয়ে তুলতে পারেন।

তবে আদর্শ পদ্ধতি হচ্ছে, অর্গানিক এবং পেইড দুটি পদ্ধতি একই সাথে ব্যবহার করা। মেরি স্মিথ তার নিজস্ব পদ্ধতি মেরি মেথড প্রয়োগের মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্গানিক রিচ  অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি এজন্য সুনির্দিষ্ট টপিকের উপরে আর্টিকেল লেখেন, নিয়মিত ভিডিও পোস্ট এবং ফেসবুক লাইভ করেন যা তার কাস্টমারদের বিজনেস পেজে এঙ্গেজ করে রাখে এবং ফেসবুক গ্রুপেও তিনি সক্রিয় থাকেন।

পাশাপাশি ফেসবুকে অ্যাডের জন্য আলাদা বাজেট তিনি নির্ধারিত রাখেন। সবগুলো পদ্ধতির সমন্বিত প্রক্রিয়া তার ফেসবুক পেইজের অর্গানিক রিচকে বাড়াতে সাহায্য করেছে।

আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, অর্গানিক রিচ পাবার জন্য ফেসবুক অ্যাডের বিপরীতে টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে কি?

কিন্তু আপনি যদি সঠিকভাবে এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করেন,  তবে নিয়মিতভাবে রিটার্ন অফ ইনভেস্টমেন্ট ধরে রাখতে পারবেন।

পরামর্শঃ  আপনি কি আপনার বিজনেস পেইজের সাথে ফেসবুক গ্রুপটি লিংক করে রেখেছেন?  যদি না করে থাকেন তবে এখুনি করে ফেলুন।

সমস্যা নম্বরঃ ৪

কনভার্শনঃ এঙ্গেজ কাস্টমারদের ক্লাইন্টে পরিনত করা

এটি ফেসবুক অ্যাড কনভার্শনের সাথে সম্পর্কিত। আপনি হয়তো লক্ষ্য করছেন, কাস্টমাররা আপনার পেজের পোষ্টগুলো দেখছেন, এঙ্গেজ হচ্ছে কিন্তু সেল হচ্ছে না।

এই সম্পর্কিত যে মন্তব্যগুলো জরিপে উঠে আসে,

  • বিজনেস পেজের পোস্টগুলোর সাথে অডিয়েন্স এঙ্গেজ হচ্ছে কিন্তু তারা কেনাকাটা করছে না।
  • কাস্টমারদের এঙ্গেজ করা থেকে শুরু করে কাস্টমার বানানো পর্যন্ত একটি জার্নির মধ্যে তাদের রাখতে হবে।  যেখানে কাস্টমার ধীরে ধীরে নির্দিষ্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই বিজনেসের ক্লায়েন্ট হিসেবে পরিণত হবে।
  • যৌক্তিক উপায় কাস্টমারদের সাথে যুক্ত থাকতে হবে, যেন তারা পরবর্তীতে দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার কাস্টমারের পরিণত হয়।
  • এমন একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে কাস্টমারদের নিয়ে যেতে হবে তিনি যেন আপনার প্রোডাক্টটি ব্যবহার করে দেখতে আগ্রহী হন। শুধুমাত্র লাইক বা কমেন্ট করে এঙ্গেজ থাকলেই হবে না।

পরামর্শঃ নিম্নে উল্লেখকৃত ৪ টি ধাপে আপনার মার্কেটিং এক্টিভিটিজ গুলো পরিচালনা করুন।

১। কোর ফেজঃ  নিয়মিতভাবে মানসম্মত কন্টেন্ট পাবলিশ করুন। আপনার কনটেন্টে উপযোগিতা যোগ করুন।  কমিউনিটি তৈরি করুন তাদের কথা শুনুন এবং সেখান থেকে আপনার আদর্শ অডিয়েন্স দের খুঁজে বের করুন।

২। বিল্ড আপ ফেজঃ  কাস্টমারদের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলুন।  নতুন কিছু হতে চলেছে, নতুন কিছু আসছে এমন ধরনের সাসপেন্স তৈরি করুন;

৩। প্রমোশন ফেজঃ  আপনার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসগুলোর প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যান।  কাস্টমারদের ফোন নাম্বার বা ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করুন। তাদের জন্য দারুন অফার ডিজাইন করুন।

৪। ফলোআপ ফেজঃ  শেষ পর্যন্ত ক্লায়েন্টের সাথে যুক্ত থাকুন, তাদের রিভিউ নিন, কেস স্টাডি তৈরি করুন।

উপরের চারটি ধাপের উপর নির্ভর করে সারা বছরের পরিকল্পনা সাজিয়ে নিন।

প্রমোশনাল কনটেন্টগুলো যে ধরনের হোক না কেন যদি টার্গেট কাস্টমারদের জন্য আদর্শ হয় তবে সেগুলোতে অথেন্টিক এনগেজমেন্ট হবে।

যখন কাস্টমার এঙ্গেজ হয়, সে সময় তাদেরকে বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে কেনাকাটায় উৎসাহিত করতে থাকুন।

তারা একসময় আপনার ক্লাইন্টে পরিণত হবে। কিন্তু যদি তাদের কাছে শুধুমাত্র সেল পোষ্ট দিতে থাকেন তবে তারা আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে।

সমস্যা নম্বরঃ ৫

পরিবর্তনঃ  প্রতিনিয়ত ফেসবুকের পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়া

প্রতিনিয়ত এই প্ল্যাটফর্মে কোন না কোন কিছু পরিবর্তন হয়ে চলেছে, একজন বিপণনকারী যখন ফেসবুকের এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত হতে শুরু করেন ঠিক তখনই ফেসবুক আরো বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে।

ফেসবুকের ক্রমাগত পরিবর্তন নিয়ে জরিপে যে তথ্যগুলো উঠে আসে,

  • ফেসবুকের অ্যালগরিদমের পরিবর্তনের সাথে ফেসবুক পেজ ও গ্রুপের যে পরিবর্তন ক্রমাগত হয়ে চলেছে তার সাথে আপ টু ডেট থাকা কষ্টকর।
  • অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর টার্ম এবং কন্ডিশন সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট থাকা চ্যালেঞ্জিং।
  • প্রতিনিয়ত পরিবর্তনগুলোকে ফলো করা এবং মানিয়ে নেওয়া কষ্টসাধ্য।
  • কৌশলগত পরিবর্তনের সাথে নিয়মিত আপডেট থাকতে যেয়ে বেশিরভাগ সময়ই কাজ করার থেকে গবেষণায় মনোযোগী হয়ে পড়তে হয়।

এই বিষয়ে মারি স্মিথ পরামর্শ দিয়েছেন,  ক্রমাগত পরিবর্তনের সাথে আপ টু ডেট থাকতে প্রয়োজনে আপনি দক্ষ কারো সহায়তা নিন অথবা প্রফেশনাল কোন এজেন্সির উপরে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন।

এমন কাউকে খুজুন যারা ফেসবুক মার্কেটিং এর এই জটিল সমস্যাগুলোর নিয়ে নিয়মিত কাজ করে চলেছেন।

হতে পারে সেটি আপনার নিজেদের টিমের মধ্যে অথবা হতে পারে বাইরের কেউ।

কিন্তু এই কাজের জন্য কোন ফেসবুক পেজ বা গ্রুপকে আপনি বেছে নিবেন?

এ কাজটি করার জন্য ফেসবুকে হাজারো পেজ রয়েছে। এক্ষেত্রে দেশি কমার্স আপনার জন্য আদর্শ একটি সমাধান।

দেরি না করে এখনি দেশি কমার্সের ফেসবুক পেইজটি লাইক করুন এবং সি ফাস্ট বাটনে ক্লিক করে রাখুন।

নতুন কন্টাক্ট পোস্ট করা মাত্রই আপনি সবার প্রথমে দেখতে পাবেন।

দেশি কমার্স ফেসবুক পেজে ই-কমার্স মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে নিয়মিতভাবে তথ্যবহুল লেখা প্রকাশিত হয়।

যার সঠিক প্রয়োগ আপনার বিজনেসকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।

আপনার যদি ফেসবুকের পেইড ক্যাম্পেইন এর সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তাহলে এখানে ক্লিক করুন

Facebook Comments

Leave a Reply