0
  Login
কাস্টমারদের ক্লাইন্ট হিসেবে পরিণত করতে বাড়াতে হবে ইমেইল এর ব্যবহার

কাস্টমারদের ক্লাইন্ট হিসেবে পরিণত করতে বাড়াতে হবে ইমেইল এর ব্যবহার

সুজান ব্রাডলি, একজন দক্ষ ইকমার্স উদ্যোক্তা যিনি তার ই-কমার্স স্টোর “উই স্কুইক” এর মাধ্যমে একটি বিজনেসকে বাড়িয়ে তোলার কৌশলগুলো নিয়ে কাজ করেন।

তিনি “দ্য সোশ্যাল সেলস গার্লস” নামে একটি প্রোগ্রাম দ্বারা উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।

ইনফিউশনসফট নামে একটি টুলস রিকমেন্ডেড করেন যার মাধ্যমে একটি ক্ষুদ্র বিজনেসকে সম্পূর্ণ রকমভাবে অটোমোশন করা যায়।

বিঃদ্রঃ দেশি কমার্সের ই-কমার্স ওয়েবসাইট সলিউশন একটি বিজনেস কে বাড়িয়ে তুলতে বিজনেস সম্পর্কে কাস্টমারদের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ প্রদান করে।

ফানেল অ্যাপ্রচ গুরুত্বপূর্ণ

 

টেরি আর্সেনালট, Shopidd নামে একটি লিডিং ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি পরিচালনা করেন। পাশাপাশি তাদের নিজের  একটি কমার্স স্টোর রয়েছে।

তিনি ফেসবুকে শপিফাই কমার্স গ্রুপ পরিচালনা করেন যেখানে ১০ হাজারেরও অধিক মেম্বার রয়েছে।

টেরি আর্সেনালট মনে করেন, ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের সফলতা পেতে হলে ফানেল অ্যাপ্রচে এগোতে হবে।

ফানেল অ্যাপ্রচে হলো মার্কেটিং এর এমন একটি কৌশল, যেখানে একজন কাস্টমারকে প্রথমে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে পরিচিত করাতে হয়, তারপরে তাকে এঙ্গেজ করতে হয় এবং এর পরবর্তীতে তার কাছে সেল করতে হয়।

একজন কাস্টমার আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য না পেয়ে কখনো কেনাকাটা করবে না।

এমন খুব কমই হয় যেখানে একজন কাস্টমার প্রথমবারেই একটি ই-কমার্স স্টোর থেকে কেনাকাটা সম্পন্ন করেন।

দেশি কমার্স কাস্টমারদের মার্কেটিং স্ট্রাটেজি নির্ধারণ করার সময় ফানেল এপ্রোচ কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

কাস্টমার জার্নি ম্যাপ

 

ক্যাথরিন হাওয়েল, তিনি একটি ফানেল ক্রিয়েশন এজেন্সি পরিচালনা করেন যার নাম “এইট লুপ সোশ্যাল”

তিনি পরামর্শ দেন, প্রথম থেকেই একজন কাস্টমারের জার্নিম্যাপ পর্যবেক্ষণ করতে হয়।

কাস্টমার জার্নিম্যাপ হলো, একজন কাস্টমার কতভাবে আপনার সাথে এঙ্গেজ হতে পারে এবং তারা কোথায় কোথায় অবস্থান করছে এবং একটি বিক্রয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে তারা কোন কোন ধাপ অতিক্রম করছে পুরো বিষয়টিকে পর্যবেক্ষণ করা।

ব্যতিক্রমী উপায় সেল করা

 

আসলে রাইট  একজন ই কমার্স উদ্যোক্তা। তিনি বেশ কিছু অনলাইন স্টোর পরিচালনা করেন যার মধ্যে খুব পপুলার একটি ফেসবুক গ্রুপ যার নাম “ফেসবুক অ্যাডস এন্ড শপিফাই স্ট্র্যাটেজি”

তিনি মনে করেন, আপনাকে ব্যতিক্রম হতে হবে, যদি কাস্টমারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চান।

কাস্টমারের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য অবশ্যই ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসকে দেখার চেষ্টা করতে হবে। এবং সেই মোতাবেক উপস্থাপনা করতে হবে একটি চমৎকার ক্রিয়েটিভ এর মাধ্যমে।

থাকতে হবে সর্বদা আপটুডেট

 

শাবিস্তান গোমেজ, ড্রপ শিপিং এর জন্য একজন পৃথিবী বিখ্যাত সেরা ই-কমার্স এক্সপার্ট

তার দেওয়া প্রধান টিপস হচ্ছে সর্বদা আপ টু ডেট থাকতে হবে।

একটি অ্যাডভার্টাইজমেন্ট যখন আর ভালো পারফর্ম করছে না, ঠিক সেই সময়ে আপনাকে সে এডভার্টাইজিং টিকে অপটিমাইজ করতে হবে।

খুঁজে বের করতে হবে কোন ধরনের অ্যাডসগুলো আপনাকে সর্বোচ্চ ফলাফল এনে দিচ্ছে।

কাস্টমারদের আচরণ ও চাহিদা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। তাদের এই দ্রুত পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেবার সক্ষমতা বিজনেসে সফলতার রাস্তা সুগম করে দেয়।

ফেসবুকের জন্য ভিডিও অ্যাডস ব্যবহার করতে হবে

 

লরেন্স আপনতে, যিনি তার কোচিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্যদেরকে অনুপ্রাণিত করে থাকেন।

তার পরামর্শ, একজন উদ্যোক্তাকে প্রথম একটি ভিডিও অ্যাড চালাতে হবে। সেই ভিডিও অ্যাডে যে সকল কাস্টমার এঙ্গেজ হচ্ছে পরবর্তী সময়ে তাদেরকে রি-টার্গেট করে অ্যাড দিতে হবে।

তিনি ভিডিও অ্যাডকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, কারণ ফেইসবুক ভিডিও অ্যাডকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয় এবং ফেসবুকে ভিডিও অ্যাডের পারফরম্যান্স রেট সবচেয়ে বেশি।

উদাহরণস্বরূপ, দেশি কমার্সের এই ভিডিওটি দেখতে পারেন যেখানে ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রায় ২০ হাজার মানুষ দেখেছে এবং এটি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।

পরিশেষে,

বিভিন্ন ই-কমার্স এক্সপার্টরা তাদের বিজনেসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রকম কৌশলকে বেছে নিয়েছেন এবং সময়ের সাথে সাথে তারা সেটি উন্নত করে চলেছেন।

উপরের আলোচনা থেকে খেয়াল করলে দেখবেন, প্রত্যেকেই তার বিজনেসের জন্য যে কৌশলটি আদর্শ সেটিকেই খুঁজে নিয়েছেন এবং তার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করেছেন।

আপনার ইকমার্স বিজনেসের জন্য কোন কৌশল টি আপনার কাছে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হয়?

Facebook Comments

Leave a Reply