0
  Login
এ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ও  নেটওয়ার্ক এর মধ্যে পার্থক্য কী? এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে আপনার আয়ের উৎস

এ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ও নেটওয়ার্ক এর মধ্যে পার্থক্য কী? এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে আপনার আয়ের উৎস

ইন্টারনেট বা অনলাইনে সময় কাটান অথচ আউটসোর্সিং বা এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে শুনেন নি এমন মানুষ হয়তো খুজে পাওয়া যাবেনা। কিন্তু আউটসোর্সিং বা এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আসুন জেনে নিই টুকি টাকি।

এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে সাধারনত পণ্য বিক্রি করে কিছু কমিশন প্রাপ্তিকে বোঝানো হয়ে থাকে। এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি মাল্টি- বিলিয়ন ইন্ডাষ্ট্রি। আমাদের দেশে এ ধরনের ব্যবসা করছে অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে যতগুলো আয়ের পন্থা সম্পর্কে আমরা জানি, এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তাদের মধ্যে অন্যতম। ভাল মানের একজন ব্লগার এ মাধ্যম থেকে প্রচুর পরিমান অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম। ভাল মানের একজন ব্লগারই পারে প্রচুর পরিমান ভিজিটর বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করতে। এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে Amazon বেশ ভাল মানের এবং নির্ভরযোগ্য একটি সাইট । বিশ্বের অনেক ব্লগার এই সাইটের পণ্য মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমান অর্থ উপার্জন করছে। এ সাইটের পণ্য বিক্রি করতে পারলে ১৫% পর্যন্ত কমিশন পাওয়া যায়। অর্থাৎ ১০০ টাকার একটি পণ্য বিক্রি হলে আপনি পাবেন ১৫ টাকা। এটি ব্যবসায়ের অন্যতম একটি সম্ভাবনাময় খাত। সাধারনভাবে আপনি যদি জানেন তাহলে আপনি এসব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সহজেই আয় করতে পারেন।

এ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ও এ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক এর মধ্যে পার্থক্য কী?

এ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম হলো প্রোডাক্ট মালিক (এডভার্টাইজার) ও পাবলিশারদের মধ্যে একটা চুক্তি। ধরুন, আপনি একটা সফটওয়ার বানিয়েছেন। এখন সফটওয়ারটি সম্পর্কে সবাইকে জানাতে হলে আপনার মার্কেটিং করতে হবে। সময় ও বাজেট থাকলে আপনি নিজেই এই মার্কেটিং করতে পারেন। কিন্তু ব্যাপারটা আরো সোজা হতে পারে যদি আপনার ব্লগের ভিজিটররা এই সফটওয়ারটির মার্কেটিং করে। প্রতি সেল (Sale) এর জন্য আপনি একটা নির্দিষ্ট কমিশন দিতে পারেন । এভাবে মার্কেটিং করাটা দু’পক্ষের জন্যই লাভজনক। এখানে আপনার ভিজিটর এবং আপনার মধ্যে যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরী হলো, সেটাই একটা এ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। নিজে একটা এ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালানো অনেক ঝামেলার ব্যাপার। এ্যাফিলিয়েটদের ম্যানেজ করা, টাকা-পয়সার হিসাব রাখা, নতুন নতুন প্রোমোশন আইডিয়া বের করা ইত্যাদি তখন আপনাকেই করতে হবে।এতোসব ঝামেলা পোহাতে না চাইলে আপনার জন্য সহজ উপায় হলো একটা এ্যাফিলিয়েট ওয়ার্কে যোগ দেয়া।মোটামুটি এ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হলো একটা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেটি এ্যাডভাটাইজার ও পাবলিশারদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরী করে দেয়। প্রতিটি এ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক এর নিজস্ব ট্রাকিং ও পেমেন্ট সিষ্টেম আছে। এমনও হতে পারে যে একজন এ্যাডভাইটাইজার তার প্রোডাক্ট একাধিক এ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে প্রমোট করছে আবার তার নিজস্ব এ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে।সুতরাং আশাকরছি এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে একটা ধারনা আপনারা পেয়েছেন। এছাড়াও এই মুহুর্তে জনপ্রিয় এমন ১০টি এ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানতে পড়ুন ”সেরা দশ এ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক ২০১৬”

এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে কি কি জানতে হয়:

নিশ নির্বাচন

কিওয়ার্ড রিসার্স

প্রোডাক্ট রিসার্স

ওয়েব সাইট তৈরির যাবতীয় প্রসেস

কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট

ল্যান্ডিং পেজ বানানো

ইমেইল লিস্ট বিল্ডিং

কনভার্সন রেট অপটিমাইজেশন (লিংক বিল্ডিং)

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

পেইড মার্কেটিং (অ্যাডঅ্যায়ার্ড, ফেসবুক, মিডিয়া বাই প্রভৃতি)

বর্তমানে আমাদের দেশে এন্ট্রি লেভেলের এমন অনেক মার্কেটার আছে যারা মোটামুটি প্রতিমাসে ১০০০ থেকে ২০০০ ডলার আয় করছে। এবং এটি অনেকটা স্বাধীন ও সম্মান জনক পেশা।

এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পূর্ব প্রস্তুতি:

শুরুতেই নিজস্ব ডোমেইন কিংবা ফ্রি ডোমেইন এর মাধ্যমে একটি ব্লগ সাইট খুলে বিষয়ভিত্তিক আর্টিকেল পোষ্ট করতে থাকুন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভিজিটর সংগ্রহে এবং মোট ভিজিটরের পরিমান বৃদ্ধির জন্য

ব্যাকলিংক তৈরি – (Backlinks)

মার্কেটিং (Marketing)

ফোরাম পোষ্টিং – (Forum Posting)

কমেন্ট পোষ্টিং – (Comment Posting)

তথা Seo এর কাজগুলো বেশি বেশি করতে থাকুন।কারণ ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য Seo এর কোন বিকল্প নেই।

নিয়মিত ভিজিটরের আপডেট দেখে দেখে নিত্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহন করুন।
যখন মনে করবেন আপনার ব্লগটি এখন বেশ জনপ্রিয় এবং ভিজিটরদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়েছে তখন আপনি এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য পরিকল্পনা গ্রহন করুন। কেননা, সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে আপনার সাইটে বিদেশী ১০০০ ভিজিটর ঢুকলে হয়ত আপনার এ্যাফিলিয়েটকৃত পন্য বিক্রি হবে ১-১০ টি। তবে এটিও সত্য যে, ভালমানের একটি ব্লগ সাইটে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিজিটর আনা কঠিন কিছু নয়।

কিভাবে আপনার ব্লগে যুক্ত করবেন Amazon.com এর পন্য:

শুরুতেই www.amazon.com সাইটে সঠিক নাম-ঠিকানা দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে রেজিষ্ট্রেশন করুন।

সাইটের Make Money With Us অপশন থেকে এসোসিয়েট হিসেবে যোগদান করুন। এখানে একটি Id আপনার জন্য নির্দিষ্ট করা হবে, সে আইডিটি সংরক্ষনে রাখুন।

আপনার প্রদানকৃত সকল তথ্যের পর্যালোচনা শেষে ১-৩ কার্যদিবসের মধ্যে আপনাকে একটি মেইল পাঠানো হবে এবং স্পেশাল একটি পেজে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
মূল পেজে প্রবেশের পরে Get started now বাটনে ক্লিক করে দেখে নিন সকল নিয়ম কানুনের আপডেট।

এবার এ সাইট থেকে প্রডাক্ট এর লিঙ্ক (এইচটিএমএল কোড) সংগ্রহ করে আপনার ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটে ব্যবহার করুন। এরপর যারাই আপনার প্রদত্ত লিঙ্ক থেকে পন্য সংগ্রহ করবে আপনি পাবেন মোট পন্য মূল্যের ১৫%।

যারা এ বিষয়টি নতুন শুনেছেন, আশা করি তারা উপরের আলোচনা থেকে কিছুটা হলেও এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবেন। এবার চালিয়ে যান। আপনার চেষ্টাই আপনাকে সফল করবে ইনশাল্লাহ। আরেকটি কথা, আপনার উপার্জিত অর্থ দেশে আনতে পেমেন্ট পদ্ধতি অবশ্যই চেক সিলেক্ট করবেন। নিজস্ব ওয়েব সাইট ছাড়াও এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায। এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরো তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট পাবেন এখানে। আমাদের সাথে থাকুন।

Facebook Comments

Leave a Reply