0
  Login
বুস্ট পোষ্ট নাকি ফেসবুক অ্যাড: পারফরমেন্স ভালো করতে কোনটি বেশি উপযোগী

বুস্ট পোষ্ট নাকি ফেসবুক অ্যাড: পারফরমেন্স ভালো করতে কোনটি বেশি উপযোগী

বুস্ট পোষ্ট শব্দটির সাথে আমার সবাই পরিচিত। যদি আপনার একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে থাকে, তবে এতদিনে আপনি নিশ্চয় এটি বুঝে গেছেন ফেইসবুক অডিয়েন্স এর কাছে রিচ করা কত কঠিন।

ফেসবুক পেজে শেয়ার করা পোস্ট গুলো আপনার পেজের মোট অডিয়েন্সের ১ থেকে ৫ শতাংশ মানুষই কেবল দেখতে পায়। তবে সঠিক সংখ্যাটি কত – এটি ফেসবুকের একটি বড় রহস্য।

তাই যদি আপনি ফেসবুক অ্যাড  বা পোস্ট বুস্ট এর জন্য টাকা খরচ না করেন, তবে আপনার পোস্টটি খুব বেশি মানুষের কাছে পোঁছাবে না।

কিন্তু তা সত্ত্বেও ফেইসবুক ‘মার্কেটিং’ এর জন্য একটি অসাধারণ টুল।

আপনার ফেসবুক প্রোমোশনের পারফরমেন্স বাড়াতে কোনটি অধিক উপযুক্ত – ফেসবুকের বুস্ট পোষ্ট বাটন ব্যবহার করে পোস্ট বুস্ট করা, নাকি অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহার করে ফেসবুকে অ্যাড দেয়া।

প্রথমে জানতে হবে ফেসবুকের “বুস্ট পোস্ট” বিষয়টি কি?

ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করার পরে ঠিক নিচের দিকে একটি সবুজ বাটন খেয়াল করা যায়। যেখানে লেখা থাকে বুস্ট পোস্ট।

এই বুস্ট পোস্ট বাটনে ক্লিক করলে কিছু লিমিটেড টার্গেটিং অপশন থাকে যেগুলো সিলেক্ট করার মাধ্যমে পোস্টটি বুস্ট করা সম্ভব।

বুস্ট পোস্ট যে লিমিটেড সংখ্যক অপশনগুলো আপনাকে দেয় তার একটি ছবি নিচে দেওয়া হল।

আপনি যদি চান আপনার পোস্টটি খুব সহজে বুস্ট করতে এবং কিছু সাধারণ টার্গেটিং অপশন,  যেমন বয়স ভিত্তিক টার্গেটিং, লোকেশন ভিত্তিক টার্গেটিং ও কিছু সাধারন ইন্টারেস্ট টার্গেটিং সিলেক্ট করে তারপর বাজেট এবং টাইম নির্ধারণ করে বুস্ট করতে, তবে এটি সব থেকে সহজ পদ্ধতি।

প্রচলিত যে ভুল

অনেকেই বলেন – বুস্ট পোস্ট কোন কাজে দেয় না। এটি দ্বারা রিচ হয় না, কাস্টমার এঙ্গেজ হয় না – এ ধরনের তথ্য সম্পূর্ণ ভুল।

বুস্ট পোষ্ট দ্বারাও কাস্টমার এঙ্গেজ করা যায় – কিন্তু এখানে যে বিষয়টি বুঝতে হবে সেটি হচ্ছে ‘সীমিত উপায়ে’।

বুস্ট পোস্ট শুধু মাত্র আপনাকে ‘এনগেজমেন্ট’ এনে দেবে – আপনি প্রচুর লাইক বা কমেন্ট পাবেন আপনার পোস্টে। কিছু মেসেজও আপনি পাবেন।

বিজনেসের প্রথম দিকে মানুষকে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানানোর জন্য “বুস্ট পোস্ট” বেশ ভালো।

কিন্তু যখন আপনি সেল করতে চাইবেন তখন আর বুস্ট পোস্ট আপনার কাঙ্খিত রেজাল্ট এনে দিতে পারবে না।

ফেসবুকের সমস্ত টার্গেটিং অপশন আপনি এখানে পাবেন না। ফলে আপনি সম্ভাব্য কাস্টমারদের স্বল্প খরচে রিচ করতে পারবেন না।

 

যদি আপনার লক্ষ্য থাকে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিজনেস করা এবং কাঙ্ক্ষিত সেল নিয়ে আসা, তবে আপনাকে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাড চালাতে হবে।

 

অ্যাড ম্যানেজার ফেসবুকের একটি অসাধারন মার্কেটিং টুল। অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহারে ফেসবুকের সমস্ত প্রকার টার্গেটিং অপশন ব্যবহার করার সুযোগ আপনি পাবেন।

এতে আপনার বিজনেস এর জন্য কাস্টমার খুঁজে পাবার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে।

এড ম্যানেজার ব্যবহারে ক্রিয়েটিভ পোস্ট চমৎকার উপায় উপস্থাপনার সুযোগ রয়েছে।

অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহারের আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার অ্যাড দেবার যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য ধাপে ধাপে একটি এড পরিচালনা করা সম্ভব।

একজন কাস্টমার একটি পোস্ট দেখার পর পরেই আপনার থেকে কেনাকাটা করা শুরু করবে না।

প্রাথমিক পর্যায়ে ব্র্যান্ড অ্যাওয়ারনেস তৈরি করা। তারপরে সম্ভাব্য কাস্টমারদের এঙ্গেজ করে রাখা এবং পরবর্তী ধাপে তাদের থেকে সেল নিয়ে আসার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সেলস ফানেল তৈরি করতে অ্যাড ম্যানেজার দারুন সহায়ক।

নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন এড ম্যানেজার দিয়ে অনেক ডিটেইল টার্গেটিং সম্ভব সাথে একটি ইফেক্টিভ সেলস ফানেল ক্রিয়েট করা যায়।

বুস্ট পোষ্ট কি সেই অপশনটি আপনাকে দেয়?  উত্তরঃ দেয় না।

তাহলে কোন পদ্ধতি আমার জন্য সঠিক

বিজনেসের প্রথম দিকে সহজেই কিছু এনগেজমেন্ট আনার জন্য বুস্ট পোস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

তবে যদি ফেইসবুক আপনার সেলস এর অন্যতম প্রধান চ্যানেল হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহার করতে হবে ।

অ্যাড ম্যানেজারের ডিটেইল টার্গেটিং অপশন, প্লেসমেন্ট অপসন, বাজেট কন্ট্রোল অপসন, ক্রিয়েটিভ প্রেজেন্টেশন অপসন  এর মাধ্যমে ফেসবুকের অ্যাড পরিচালনা আপনার বিজনেসের জন্য সঠিক পদ্ধতি।

Facebook Comments

Leave a Reply