0
  Login
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এক উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের হাতছানি!

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এক উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের হাতছানি!

১. মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কী?

মূলতঃ আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত হাতের মোবাইলটির জন্য তৈরিকৃত সফটওয়্যারকে আমরা সাধারণত মোবাইল অ্যাপ বলে থাকি। আর এর তৈরির পদ্ধতি হচ্ছে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট।

২. বর্তমান বিশ্বে কত ধরণের মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে? এবং সব গুলো কি একই ফ্লাটফর্মে বা এনভাইরোনমেন্টে ডেভেলপ করা সম্ভব?

বর্তমান বিশ্বে জনপ্রিয় দুটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে যথাক্রমে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস মোবাইল যেটাকে আমরা iphone নামেই ছিনি। এবং এই দুইটির জন্যেই মূলত মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। এই দুটির প্রতিটি প্লাটফর্মের জন্য অ্যাপ তৈরি করতে ভিন্ন ভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করতে হয়। যেমন আইওএস’র জন্য সুইফট বা অবজেক্টিভ সি, অ্যান্ড্রয়েড’র জন্য জাভা ল্যাংগুয়েজের প্রয়োজন হয়। এমন কী অ্যাপগুলো তৈরি করার জন্য থাকতে হয় আলাদা আলাদা অ্যানভারনমেন্ট। যেমন আইওএস অ্যাপ তৈরি করতে প্রয়োজন হয় এক্সকোড এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ’র জন্য অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও। দুটিরই নিজ নিজ প্লাটফরমের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে তৈরিকৃত অ্যাপগুলোকে ন্যাটিভ অ্যাপ বলে।

৩. ন্যাটিভ অ্যাপ তো বুজলাম, কিন্তু ন্যাটিভ ছাড়া কি অন্য কোনো ভাবে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করা সম্ভব না?

হ্যা ন্যাটিভ অ্যাপ ছাড়াও আরেকভাবে অ্যাপ তৈরি করা যায়। যাকে আমরা বলি ক্রস প্লাটফর্ম অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। সাধারণত ওয়েব টেকনোলজি যেমন এইচটিএমএল, সিএসএস এবং জেএস ব্যবহার করে ক্রস প্লাটফর্ম অ্যাপ তৈরি করা হয়। এগুলোকে হাইব্রিড অ্যাপও বলা হয়। হাইব্রিড বেশিরভাগ ফ্রেমওয়ার্ক যেমন react native, vue native জাভাস্ক্রিপ্ট’র উপর তৈরি। আবার flutter framework টি google এর dart language দিয়ে তৈরী।

৪. হাইব্রিড অ্যাপ এবং ন্যাটিভ অ্যাপ এর মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে?

খুব একটা পার্থক্য না থাকলেও হাইব্রিড অ্যাপ এর ফ্রেমওয়ার্কগুলো আপনাকে একটা দারুণ সুবিধে দিবে , আর সেটা হচ্ছে আপনি একটা প্লাটফরমের জন্য যখন কোনো অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করবেন তখন তা একই সাথে সবগুলো প্লাটফরমে সাপোর্ট করে। আর এতে আপনার সময় এবং টাকা দুটোই বাঁচবে। আর তাই বর্তমানে হাইব্রিড অ্যাপ গুলো খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

৫.একজন মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

অ্যাপ ডেভেলপার হতে হলে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ালেখা করতে হবে, বিষয়টি এমন নয়। তাদের জন্য বিষয়টা একটু সহজ হয়। তবে যে কেউই অ্যাপ ডেভেলপার হতে পারবে।অ্যাপ ডেভলপিং যেহেতু সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল কাজ। তাই সবার প্রথমে কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞানের পাশপাশি প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এরপর অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ভালোভাবে শিখে নিতে হবে। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শেখার পর আসল হলো আপনার তৈরি অ্যাপ্লিকেশনটির নকশা। কি অ্যাপ তৈরি করতে চাচ্ছেন, তার পরিষ্কার ধারণা। এছাড়া অ্যালগরিদম, ডেটা স্ট্র্যাকচার, ডেটাবেজ সম্পর্কে ধারণা থাকলে দারুণ সব অ্যাপ তৈরি করা যাবে। থাকতে হবে সৃষ্টিশীল মানসিকতা, প্রবল ইচ্ছাশক্তি, কাজের প্রতি একাগ্রতা, আন্তরিকতা ও ধৈর্য। যারা নিজে অ্যাপ তৈরি করে প্লে স্টোরে দিতে চায়, তাদের উচিত ইউনিক কিন্তু প্রয়োজনীয় এমন কোনো বিষয়ে অ্যাপ তৈরি করা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আর ক্লায়েন্টদের জন্য তৈরি করতে হলে ওই বিষয়ে পড়াশোনা করে যত্ন সহকারে কাজ করতে হবে।

৬. ধরুন আমি তা ভালোভাবেই শিখলাম। পরে কোথায় এবং কিভাবে কাজ করব?

এক কথায় বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করার সুযোগ। বর্তমানে প্রত্যেকটি সফটওয়্যার এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি তাদের সফটওয়্যার এবং ওয়েবসাইট বা ওয়েব ভিত্তিক সফটওয়্যার এর একটা মোবাইল অ্যাপ ভার্সন থাকেই। বর্তমানে মোবাইল অ্যাপ’র চাহিদা অনেকগুণ বেশি। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫ কোটি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭ কোটি ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৯৫ শতাংশই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা গড়ে ন্যূনতম একটি অ্যাপ ব্যবহার করেন। প্রতিদিন দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেন অ্যাপস ব্যবহারে। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা তাঁদের স্মার্টফোন ব্যবহারের ৮৬ শতাংশ সময় ব্যয় করেন অ্যাপসে। সুতরাং যে কোনো ডেভেলপার অ্যাপ ডেভেলপ করে প্লে স্টোরে আপলোড করলে কোনো জব করা ছাড়াই দারুণ আয় করতে পারে। জনপ্রিয় একটি অ্যাপ তৈরি করতে পারলে সারা জীবন আর কিছু করতে হবে না। মানে আর্নিং এর কোন চিন্তা করতে হবে না। অন্য কোন ক্রিয়েটিভ কোন কাজে নিজের সময় গুলো কাজে লাগানো যাবে। যারা অ্যাপ ডেভেলপমেন্টকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চায় তাদের ভবিশ্যৎ তো উজ্জ্বল তার পাশা পাশি যারা সখের বসে করতে চায় তাদের জন্যও দারুন একটা ক্ষেত্র। কারণ মোবাইল অ্যাপ গুলো থেকে একটা প্যাসিভ ইনকাম সহজেই তৈরি করা যায়। যা থেকে নিজের প্রধান সেলারি বা আয় এর পাশা পাশি একটা বাড়তি ইনকাম করা যায়।বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের মতে, বর্তমানে মোবাইল অ্যাপসের বাজার প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের। ২০২০ সাল নাগাদ তা হবে প্রায় ৫৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের। এই মার্কেট ভ্যালুর ১০% বাংলাদেশে আনতে পারলেও বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব।

আপনারা কি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর উপর কোনো কোর্স করান? বিস্তারিত বললে সুবিধা হতো।

জি আমরা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর উপর কোর্স করাই। সে ক্ষেত্রে আমরা গতানুগতিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গুলো থেকে একটু আলাদা। আমাদের মূল লক্ষ্য থাকে একজন ছাত্রকে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে চাকরির উপযোগী করে তোলা। আর এর জন্য যা যা দরকার তার সবই আমরা ঐ ছাত্রকে শেখানোর চেষ্টা করি। আর তাই আমরা ছাত্রদেরকে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স এ একটা bundle অফার করব , যেখানে একজন ছাত্র নিজেকে পরিপূর্ন মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে গড়ে তুলবে।

আপনার প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা?

‘অল আইটি বিডি’, জিএস ভবন (১ম, ২য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠের পশ্চিমে, শেরপুর রোড, সাতমাথা, বগুড়া।
মোবাইল নং: 01722 461335
ওয়েব সাইট: www.allitbd.com
ইউটিউব: www.youtube.com/allitbd
ফেসবুক পেজ: https://facebook.com/allitbd

Leave a Reply