0
  Login
অপারেটিং সিস্টেম পরিচিতি

অপারেটিং সিস্টেম পরিচিতি

অপারেটিং সিস্টেম পরিচিতি

অপারেটিং সিস্টেম কি ?

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির বিশ্বে কম্পিউটার একটি নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র। যা একাধিক মানুষের কাজকে খুব অল্প সময়ে সমাধান করে দিতে পারে। অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফ্টওয়্যার যা কম্পিউটারের প্রানকম্পিউটারের মেশিনারিজ ভাষাকে আরও সহজতর ভাবে প্রোগ্রামের ইনপুট/ আউটপুট এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোল, একাউন্টিং, কম্পাইলেশন, স্টোরেজ অ্যাসাইনমেন্ট, ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং আনুষঙ্গিক কাজ গুলো করে থাকে। এক কথায় আমাদের দেয়া তথ্য গুলো ইনপুট করে সেগুলোকে প্রক্রিয়াধীন করে আমাদের রেজাল্ট দিয়ে থাকে অর্থাৎ আউটপুট করে থাকে।

কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেমের নামঃ

বর্তমান বাজারে অনেক গুলো অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। কিন্তু বলা যায় শুরুর দিক থেকেই  অপারেটিং সিস্টেমের জগতে মাইক্রোসফট তার আধিপত্য ধরে রেখেছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মাইক্রোসফট তাদের অপারেটিং সিস্টেম গুলোর আপডেট ভার্সন গুলো সত্যিই ব্রিলিয়ান্টনিত্যনতুন ভার্সন যেমনঃ Windows 98, Windows xp, Vista, Windows 7, 8, 8.1, 10 এর মতো অপারেটিং সিস্টেম গুলো সত্যিই চমকপ্রদ

আমাদের দেশে বলতে গেলে বেসিরভাগ পিসি ইউজার Microsoft এর অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকেনযদিও বর্তমানের নতুন জেনারেশনদের আগ্রহ বারছে মাইক্রোসফট ব্যাতিত অন্যান্য কোম্পানির OS গুল ঘেটে দেখতে, যেমনঃ Linux, Mack, ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির আরও অনেক অপারেটিং OS রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে অনেকেরই হয়তো জানা নেইসেই রকম কিছু অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে নিচে আলোচনা করবো। তার আগে আমরা জানবো কিছু মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে।

মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমঃ

বর্তমানে মোবাইলের আধিপত্য অনেক বেশি। বাজারে আসছে নিত্যনতুন স্মার্ট ফোন আর এই স্মার্ট মোবাইল ফোন গুলো বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিতমোবাইল ফোনের জন্য যেসকল অপারেটিং সিস্টেম গুলো বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় তার মধ্যে Android OS, iPhone বা iPad এর জন্য iOS, Firefox OS, Windows OS ইত্যাদি।

উপরের যে সকল অপারেটিং সিস্টেম গুলো সম্পর্কে আলোচনা করলাম এই OS গুলো সম্পর্কে কমবেশি সকলেরই জানা রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন কিছু OS সম্পর্কে, যেগুলোর ব্যপারে সাধারনত আমাদের ধারনা একটু কম

হাইকু (Haiku):

এই রকম একটি OS হল হাইকু। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকের BeOS নামের একটি অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসে। কিন্তু তারা মাইক্রোসফটের কাছে হার মেনে যায়যার ফলে একসময় হারিয়ে গিয়েছিল এই অপারেটিং সিস্টেমটি। তবে শেষ পর্যন্ত আবার তারা অনেকটা BeOS এর মতই Haiku নামে একটি নতুন OS বাজারে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ডিজাইনাররা ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে আরও সহজআধুনিক করে ডিজাইন করে, যাতে একজন ইউজার সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারেনতাই এর ইন্টারফেস গুলো অনেক সহজসাধারন এবং মজারএছাড়াও পরবর্তীতে এটিকে আরও আপডেট করা হয়েছে ফলে এটি দ্রুতগতীর, ব্যবহারে সহজউপভোগ্য

রিয়েক্ট ওএস (React OS):

এটি প্রথম তৈরির সময় এর নাম রাখা হয়েছিল Free Win95. মুলত Windows 95 এর হুবহু একটি ক্লোন ওপেন সোর্স তৈরি করা ছিল তাদের মুল উদ্দেশ্য। Windows 95 এর অনুকরনে এটিকে সাজাতে চেয়েছিলেন ডিজাইনাররা। ২০০৪ সালে তারা React OS এর ভার্সন ০.২.০ রিলিজ করে যাতে মোটামুটি ভাবে Windows এর সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়আকার প্রকার ও ব্যবহারে এটি Windows 95 এর মতই। বর্তমানে এই OS এর ০.৩.১২ ভার্সনটি বাজারে পাওয়া যাবে।

অ্যারোস (Aros):

১৯৮০ দশকের শেষের দিকে অ্যামিগা নামের একটি অপারেটিং সিস্টেম মোটামুটি ভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু এর নির্মাতা কোম্পানি কমোডোর কে দেউলিয়া ঘোষণা করার ফলে এই OS টি বাজার থেকে হারিয়ে যায়। পরে অ্যামিগার মতো করেই তৈরি করা হয় অ্যারোস নামের অপারেটিং সিস্টেমটি। অ্যামিগা অপারেটিং সিস্টেমের অনেক গুলো ভার্সন রয়েছে।

ইনফার্নো (Inferno):

এই অপারেটিং সিস্টেমটি তৈরি করতে এক দশকেরও বেসি সময় লেগেছিল বলে দাবি করে এর প্রোগ্রামাররা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম তারা ব্যবহারকারীদের উপহার দেয়া যাতে সবকিছু যেখানে খুসি সেখান খেকে শেয়ার করা যাবে।

কোলিব্রি ওএস (Kolibri OS):

এটি একটি উচ্চাকাঙ্খি অপারেটিং সিস্টেমএই অপারেটিং সিস্টেমটি সম্পূর্ণ অ্যাসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েসে লেখা। এতে মাল্টিটাস্কিং, গ্রাফিক্যাল ডেস্কটপ, আইপি নেটওয়ার্কিং, USB সাপোর্ট, মিডিয়া প্লে-ব্যাক সহ সকল সুবিধা রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে আকারে প্রকারে ও ব্যবহারে অত্যন্ত চমৎকার একটি অপারেটিং সিস্টেম

ডেক্স ওএস (Dex OS):

একটু ভেবে দেখুন এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম যেখানে Windows এর সবকিছু একসাথে থাকবে। সেরকমি একটি অপারেটিং সিস্টেম হল Dex Os. ডেক্সটপ কম্পিউটারে জন্য জারা Android এর মতো অপারেটিং সিস্টেম খুজতেছেন তাদের জন্য এর বিকল্প কিছু নেই

ফ্রি ভিএমএস (Free VMS):

সত্তরআশির দশকে Unix এর প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল এই অপারেটিং সিস্টেমটি। স্থিতিশীলতা, গতি ও নিরাপত্তার জন্য সেই সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল এই অপারেটিং সিস্টেমটি। কিন্তু পরবর্তীতে আবার সেটি হারিয়ে যায়

জীনোড ( JNODE):

JNODE হল একটি JAVA Based অপারেটিং সিস্টেম এবং এটি মুলত ডেক্সটপ কম্পিউটারের জন্যএই অপারেটিং সিস্টেমের মুল উদ্দেশ্য ছিল সব ধরনের JAVA Apps গুলো রান করা। বর্তমানে এই অপারেটিং সিস্টেমের ০.২.৮ ভার্সনটি পাওয়া যাবে।

সিলেবল (Syllable):

সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম ধর্মী এবং স্বাধীন একটি অপারেটিং সিস্টেম হল Syllable. অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম থেকে এটি একদম আলাদা। ডেক্সটপ টি বিচিত্র রংবেরঙের ডিজাইনে বেশ সুন্দর এবং এর পারফমেন্সখুব ভালো।

Facebook Comments

Leave a Reply