0
  Login
যে কাজ গুলো জানা থাকলে আপনি সহজে ইন্টারনেট থেকে আয় করতে পারবেন ও কোথা থেকে আয় করবেন?

যে কাজ গুলো জানা থাকলে আপনি সহজে ইন্টারনেট থেকে আয় করতে পারবেন ও কোথা থেকে আয় করবেন?

বর্তমানে ফ্রীল্যান্সিং একটি প্রিয় পেশা। বিশেষ করে তরুণদের কাছে । কোন বাধা-ধরা নিয়ম নেই, নেই নিয়ম করে অফিসে যাওয়ার কোন চাপ। স্বাধীন বা নিজের ইচ্ছে মত যখন, যেখান থেকে খুশি, শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এবং একটি ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে আপনার কাজ করতে পারবেন। তবে অনেকই আছে বলে থাকে “আমি তো অনেক চেষ্টা করলাম, কিন্ত আয় তো করতে পারলাম না” । হ্যাঁ, আপনি হয়ত আয় করতে পারেন নি কারণ আপনার দক্ষতা ও সঠিক দিক নির্দেশনার অভাব রয়েছে। তাই আপনাদের কে দক্ষতা  ফ্রীল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে ও সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে আপনার হাতের কাছেই রয়েছে ‘অল আইটি বিডি’  যারা আপনাকে দিচ্ছে বাংলাদেশের সেরা ফ্রীল্যান্সিং ট্রেইনিং ও নিশ্চিত আয় করার নিশ্চয়তা। চলুন জেনে নিই কিছু কাজ যাতে সঠিকভাবে দক্ষতা থাকলে আপনি সহজেই ইন্টারনেট থেকে আয় করতে পারবেনঃ-

১) ডাটা এন্ট্রীঃ

এটা খুব একটা কঠিন কাজ নয় । আপনার যদি Microsoft Office Applications এর ওপর এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর দক্ষতা থাকে তবে আপনি আয় করতে পারবেন । এই সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ যেমন Copy / Paste, Ecommerce Product Listing, Email Collection ইত্যাদি রকমের কাজ পাওয়া যায় ।

 

২) এডমিন সাপোর্ট

আমরা যারা কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সাধারণ ইউজার চাইলেই খুব সহজেই এডমিন সাপোর্টের কাজগুলো করতে পারি। গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনকে কাজে লাগিয়ে ওয়েব প্রেস থেকে সহজেই বায়ার এর চাহিদামত তথ্যগুলো সংগ্রহ করে ডলার ইনকাম করা সম্ভব। এডমিন সাপোর্ট ক্যাটাগরিতে ওয়েব রিসার্চ, ডাটা  এন্ট্রি, সেলস্, লিড জেনারেশন অন্যতম।

 

৩) গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্রা ডিজাইন হলো ক্রিয়েটিভ প্রসেস যা আর্ট এবং টেকনোলজী’র সমন্বয়ে আইডিয়াগুলো প্রকাশ হয়। সৃষ্টিশীল প্রকাশভঙ্গি ও ডিজাইন এর সমন্বয়ে এক আকর্ষনীয় ক্যারিয়ার, এতে কোন কোডিং এর প্রয়োজন নেই। গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনলাইনে যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি অফলাইনেও রয়েছে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিস আদালতে চাকরির সুযোগ।

 

৪) ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট

যদি আপনার ইচ্ছা থাকে একটি টেকসই ক্যারিয়ার, যা আপনার মানসম্মত ক্যারিয়ার গড়তে সাহায়তা করবে। আপনি এই প্লাটফর্মে নিজের মেধা মনন ও আপনার চিন্তার গভীরতাকে একত্রিত করে গড়ে তুলতে পারবেন সফল এক ক্যারিয়ার। সবকিছুর সমন্বয়ে যদি আপনার স্বীয় অবস্থানকে মনে করেন এ বিষয়ে আপনি নিরবিচ্ছিন্ন সময় দিতে পারবেন তবেই আপনার উচিৎ এই কোর্স সম্পন্ন করা।

 

৫) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

এসইও মানে হলো কোন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার বিজনেস বা ওয়েবসাইটকে অপটিমাইজ করা। এটি একটি অনলাইন মার্কেটিং স্ট্রাটেজি যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিকের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং সাইটির গুণগত মান উন্নত করা যায়। বর্তমান সময় ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি উন্থানশীল অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে, এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসও এর চাহিদা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে।

 

৬) ডিজিটাল মার্কেটিং

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এক অভূতপূর্ব নিদর্শন হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। এটি একটি মার্কেটিং স্টাইল। এর সাহায্যে যাবতীয় ব্যবসায়িক কার্যক্রম ইন্টারনেটের মাধ্যমে করাকে বুঝায়। সহজ অর্থে ডিজিটাল প্রযুক্তি বা মিডিয়া ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার প্রচারাভিযানই হল ইন্টারনেট/ডিজিটাল মার্কেটিং। যেকোনো কোম্পানিতে জবের পাশাপাশি ফ্রিলান্সিং করে প্যাসিভ আয় করতে পারবেন।

 

৭) এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

আধুনিক সময়ে অফলাইন মার্কেটিং এর থেকে অনলাইন মার্কেটিং অনেক বেশি জনপ্রিয়। চুক্তিভিত্তিক ভাবে কোনো কোম্পানি কিংবা প্রতিষ্ঠানের পন্য বা সেবা বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করাকেই সাধারণত এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। চিন্তাশীল মেধা কাজে লাগিয়ে আপনি সৃষ্টি করতে পারেন এ ক্যারিয়ার বা নিজের একটি বিজনেজ।

 

৮) এ্যান্ড্রয়েট, আইওএস, ইউন্ডোজ অ্যাপস্ ডেভেলপমেন্ট

কম্পিউটা বা মোবাইল সফটওয়্যার গুলোকেই সাধারণত আমরা অ্যাপ হিসেবে চিনি, এ্যান্ড্রয়েট এর অ্যাপ এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। অ্যাপ বা অ্যাপ্লিকেশন হল কম্পিউটার ইধংবফ সফটওয়্যার বা একটি প্রোগ্রাম যা সাধারণত মোবাইল ডিভাইসগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যাপস শব্দটি মূলত কোনও মোবাইল, ট্যাবলেট ব্যবহারকারীদের অ্যাপ্লিকেশন বা ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন ক্ষেত্রে উল্লেখ্য করা হয়।

 

৯) সিপিএ (CPA) মার্কেটিং

(CPA)  এর ফুল মিনিং Cost Per Action এটি অ্যাডভারটাইজিং মেথড। সিপিএ মার্কেটিং এ এ্যাফিলিয়েট এর মত প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হয় না। এখানে বিভিন্ন ধরণের অফার থাকে, কোন ভিজিটর যদি অফার শুধুমাত্র রেজিষ্টেশন করে তাহলে প্রতিটি রেজিষ্টেশনের জন্য পেমেন্ট পাওয়া যায়। সহজ কথায় প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য কাস্টমার নিয়ে আসা। আপনি যতজন কাস্টমার আনবেন তত কমিশন পাবেন।

 

১০) থ্রিডি মডেল ডিজাইন (ব্লেন্ডার)

ব্লেন্ডার একটি অত্যন্ত শক্তিশালী থ্রিডি কন্টেন্ট তৈরির ওপেন সোর্স সফটওয়্যার যা দ্বারা আমরা একাধারে থ্রিডি মডেলিং, এনিমেশন, কম্পোজিটিং, ভিডিও এডিটিং সহ আরও অনেক কাজ করি। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে থ্রিডি মডেল ডিজাইন (ব্লেন্ডার) রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। উত্তারাঞ্চলে আমরাই প্রথম এই কোর্স চালু করেছি।

 

১১) সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সহজভাবে বলতে গেলে আমরা প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে সোসাল কমোনিকেশন এর জন্য যে সাইট গুলো ব্যবহার করে থাকি সেগুলেো হল সোসাল মিডিয়া, আর আমরা যদি এগুলোর মাধ্যমে কোনে প্রোডাক্ট প্রমোট করি তা্হলে সেটি হল সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং। যেমন, টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ফেইসবুক, রেডিট, টামবলার, লিংকডিন ইত্যাদি।

 

১২) অটোক্যাড (2D & 3D)

অটোক্যাড একটি ইন্জিনিয়ারিং ডিজাইন প্রোগ্রামের নাম, অটোক্যাড সফটওয়্যারটি ব্যবহারকারীর অত্যন্ত বন্ধুত্বসুলভ  সফটওয়্যার এবং এটি সবার জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং  ল্যাঙ্গুয়েজ C++ দিয়ে তৈরি।   যার সহায়তায় ডিজাইনার ও ইন্জিনীয়াররা সহজেই দ্বিমাত্রিক (2D) এবং ত্রিমাত্রিক (3D) ডিজাইন তৈরি করতে পারে এবং যে কোনো যন্ত্রের স্থানান্তরযোগ্য পার্টস ডিজাইন করতে পারে। বর্তমানে স্থাপত্য প্রকৌশল শিল্প ও ইন্জিনিয়ারিং  কাজ এর ক্ষেত্রে অটোক্যাড  গুরুত্বপূর্ন স্থান করে নিয়েছে।

 

১৩) থ্রিডি স্টুডিও ম্যাক্স

আপনি যে কোন বস্তুকে কম্পিউটারের মাধ্যমে তিনটি মাএায় অর্থাৎ থ্রিডিতে প্রদর্শন করতে পারবেন। আপনি হলিউড, বলিউডের বিভিন্ন মুভি যেমন- Avatar, Transformer, Ra-one ইত্যাদি মুভিগুলো দেখে থাকবেন। এসকল মুভিগুলো কম্পিউটার থ্রিডি দ্বারা তৈরী। আপনি দেখবেন এগুলোতে অনেক কাল্পনিক চিএ প্রদর্শন করা হইছে। এটা সত্য যে আপনি কল্পনার যে কোন বস্তুকে কম্পিউটার 3D দ্বারা প্রকাশ করতে পারবেন। আর আপনি যখন একটি 3d Model তৈরী করে এটাকে Animate করবেন তখন এটি জীবন্ত হয়ে উঠবে। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী রং এবং লাইটিং করে বাস্তব রুপ দিতে পারবেন।

 

১৪) ইউটিউব মার্কেটিং এন্ড অ্যাডসেন্স

ইউটিউব হচ্ছে বার্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট। পৃথিবীতে যত গুলো ভিডিও শেয়ারিং সাইট রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এবং প্রথম বলে বিবেচিত তা হল ইউটিউব। যেখানে পৃথিবীর সব জায়গা থেকে ভিডিও শেয়ার করা যায়। ইউটিউব হচ্ছে একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি সাইট। ইউটিউব ব্যবহার কারীর সংখ্যাও অনেক বেশি।ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে কোন পণ্যের পরিচিতি বা সেবা খুব সহজেই মানুষের কাছে পৌছানো যায়। আর এটাকেই ইউটিউব মার্কেটিং বলে। অর্থাৎ ভিডিওর মাধ্যমে কোন সেবা বা পণ্যের মার্কেটিংকে ইউটিউব মার্কেটিং বলে।

 

১৫) ভিডিও এডিটিং

অন্যান্য কাজের তুলনায় ভিডিও এডিটিং শেখা সহজ। মোটামুটি মানের কম্পিউটার হলেই ভিডিও এডিটিং করা যায়। আউটসোর্সিং, ইউটিউব থেকে আয়, মিডিয়া হাউজে ভিডিও এডিটর হওয়া সহ সকল ধরণের মিডিয়ার কাজে ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। টিভি চ্যানেলগুলোতেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।

 

১৬) অ্যাডভান্সড ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট

ওয়ার্ডপ্রেস বর্তমান বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। একটি স্টাটিক ওয়েব সাইটকে ডাইনামিক ওয়েব সাইটে রুপান্তর করতে যে সকল CMS এর সহযোগিতা নেওয়া তার মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস সবার উপরে। ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট এবং কাস্টমাইজশনের ব্যাপক চাহিদা থাকায় অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং বিভিন্ন কোম্পানিতে জবের রয়েছে দারুন সুযোগ।

 

১৭) আর্টিকেল রাইটিং

আমরা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সবসময়ই কোন না কোন ওয়েব সাইট ভিজিট করে থাকি এবং দেখি যে কিছু কিছু ওয়েব সাইটে অনেক বড় বড় আর্টিকেল বা কন্টেন্ট থাকে । আপনার যদি ইংরেজী তে ভালো দক্ষতা থাকে, তবে আপনি এই আর্টিকেল লিখেও যায় করতে পারেন।

 

চলুন এবার জেনে নিই কিছু মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি আপনার স্কিল বা দক্ষতা অনুযায়ী কাজ বেছে নিতে পারবেনঃ-

 

১) আপ ওয়ার্কঃ-  বর্তমান ত্রুণ প্রজন্মের ফ্রীল্যান্সারদের কাছে একটি প্রিয় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে Upwork . এখানে বিভিন্ন কোম্পানী তাদের জব পোষ্ট করে থাকে এবং ফ্রীল্যান্সাররা তাদের স্কিল অনুযায়ী বিড করে কাজ জিতে নেয়।

 

২) ফ্রীল্যান্সার.কমঃ- এটিও আপ ওয়ার্ক -এর মতই কিন্ত এখানে দুইটি ভিন্ন উপায়ে আয় করা যায় । বিড করে প্রজেক্ট পাওয়া অথবা বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় যেমনঃ- লোগো ডিজাইনিং-এ অংশগ্রহন করে। Freelancer

 

৩) ফাইভারঃ- আমরা অনেকেই এটা ৫ ডলারের মার্কেটপ্লেস ভাবি কিন্ত এখানে আপনি আপনার কাজের স্যাম্পল দিয়ে গিগ পোষ্ট করে আপনি আপনার ইচ্ছে মত প্রাইস সেট করে দিতে পারবেন । যদি কেউ অর্ডার করে তবে আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট করে দেয়া প্রাইসে অর্ডার করতে হবে। Fiverr

 

যেভাবে শুরু করবেনঃ-

ইন্টারনেট থেকে আয় করার প্রথম শর্ত হল যে আপনার দক্ষ বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে । তাই প্রথমে আপনি ঠিক করে নিন যে আপনি কোন কাজ টি ভালো পারেন বা জানেন। কোন কাজের উপর আপনার দক্ষতা আছে । হ্যাঁ, ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের উপযুক্ত কাজ হতে হবে কারণ আপনি যদি ক্রিকেট বা ফুটবল খেলতে ভালো পারেন তবে আপনার জন্য সঠিক ঠিকানা ক্রিকেট বা ফুটবল ক্লাব, আর যদি আপনি কাজ শিখে আয় করতে চান তবে সেটা ভিন্ন কথা । আপনি প্রথমে যে মার্কেটপ্লেস এর কাজ করতে চান, সেই মার্কেটপ্লেস এর নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জেনে নিন, তারপরে রেজিস্টার্ড ইউজার হয়ে যান । কাজ পাবার চেষ্টা করুণ, চেষ্টা চালিয়ে যান । হয়ত আজ কাজ পাবেন না, কিন্ত কাল পাবেন অথবা সঠিক নির্দেশনা নিয়ে চেষ্টা করুন। আপনি সফল হবেনই ।

আরো বিস্তারিত পড়ুতে ক্লিক করুন

Facebook Comments

Leave a Reply