নতুনদের ইন্টারনেট থেকে অর্থ আয় করতে কি কি জানতে হবে?
অনেকেই আছেন ইন্টারনেট থেকে আয় করতে চান। এবং মাঝেমধ্যেই কাজও পেয়ে যান। কিন্তু কিছু সাধারণ ভুলের জন্যই তারা সাধারণত সেই কাজগুলোতে ফেল করেন অর্থাৎ কাজ শেষ করতে পারেন না অথবা ক্লাইন্ট (যে কাজটি দিচ্ছে) কাজটি বাতিল করে দিয়ে থাকেন। তাই সবার প্রথমেই এই সাধারণ সমস্যাগুলো সমাধান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কি সেসকল সাধারণ ভুল? আসুন সেগুলোই জেনে নেই।
কম্পিউটারের যথাযথ ব্যবহার না জানা
অনেকেই কম্পিউটার কিনার কিছুদিনের ভিতর কাজে নেমে পরার জন্য পাগল হয়ে যান। কিন্তু কম্পিউটার ব্যবহারের সাধারণ বিষয়গুলোর জন্য যখন তখন কারো না কারো সহায়তার প্রয়োজন পরে। এর ভিতর রয়েছে কম্পিউটার এর অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা, কম্পিউটার এ কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করা, কম্পিউটার এর ড্রাইভ ফরম্যাট করা ইত্যাদি। কিন্তু আউটসোর্সিং করার জন্য এসব বিষয়ে দক্ষতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেনোনা কাজ করার সময় যখন তখন এগুলোর দরকার পরতে পারে। আবার এমনও হতে পারে যে আপনার তখন অন্য কারো সহায়তা নেয়ার সুযোগও থাকবে না। তাই সবার প্রথমেই কম্পিউটার ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ শিখে নেয়াটা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্টারনেট ব্যবহার
অনেকেই আছেন বন্ধুবান্ধব এর সহায়তায় ফেসবুক বা দুই একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করা শিখে ফেলেন কিন্তু সাধারণ ইমেইল পাঠানো, গুগল এ সার্চ করে কিছু একটা খুঁজে বের করা, কোন একটি ওয়েবসাইট এ রেজিস্ট্রেশন করা ইত্যাদি কাজে সমস্যায় পরে থাকেন। কিন্তু এই কাজগুলোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে আয় করতে চান যদি ইন্টারনেট ব্যবহারই না জানেন তাহলে কিভাবে হবে? আপনাকে ক্লাইন্ট যেকোন সময় বলতে পারে কাজের ফাইল ইমেইল করে পাঠাতে। আবার গুগল থেকে কিছু একটা খুঁজে বের করার প্রয়োজন পরতে পারে যেকোনো সময়। তখন আপনি কিভাবে তা করবেন? সেই সাথে ইন্টারনেট ব্রাউজার এর অনেক সেটিংস্ মাঝেমধ্যেই পরিবর্তন করতে হয়। আবার অনেক সময় এর লুকানো কিছু ফিচার সম্পর্কে আইডিয়া রাখতে হয়। তাই এ সম্পর্কেও জেনে নেয়া ভালো।
ফ্রী ইন্টারনেট ব্যবহার
শুনতে অবাক লাগলেও এটাও একটি বিষয়। অনেকেই আছেন মোবাইল অপারেটরদের সাময়িক দেয়া ফ্রী ইন্টারনেট ব্যবহার করেও ইন্টারনেট থেকে আয় করতে চান। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে তা সম্ভব না। কেনোনা মোবাইল অপারেটররা সাধারণত যেসকল ওয়েবসাইট ফ্রী ব্যবহার করতে দেয় সেখানে কোন ক্লাইন্ট থাকে না। ক্লাইন্ট পেতে আপনাকে মার্কেটপ্লেসগুলোতে যেতে হবে যা আপনি হয়তো ফ্রী ইন্টারনেট ব্যবহার করে পারবেন না। আবার ইন্টারনেট থেকে আয় করতে প্রচুর মেগাবাইট (সহজ অর্থে) এর প্রয়োজন পরতে পারে। ফ্রী ইন্টারনেট অফার এ তা থাকে না। তাই আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট প্যাকেজ নেয়ার অবস্থায় থাকতে হবে।
নতুন কিছু পড়তে অনীহা
অনেকেই আছেন ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আয় করার ব্যাপারে সহায়তা পেতে পুরাতন ফ্রীল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করে থাকেন। তবে তারা যেই তথ্য দেন সে ব্যাপারে আরো জানার জন্য ইন্টারনেট এ আরো রিসার্চ করার প্রয়োজন পরে। আবার অনেক সময় তারা হয়তো ভালো কিছুর লিংকও দিয়ে থাকেন। তবে বেশীরভাগই এধরনের লিংক বা আর্টিকেল পরতে চান না। যদিও বেশীরভাগ সময় তাদের ভালোর জন্যই হয়তো দেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে না পড়াটা একটা ভুল বটে।
মেসেঞ্জার ব্যবহার
ইন্টারনেট ব্যবহার করে আয় করার জন্য আরো একটি দরকারি বিষয় হচ্ছে মেসেঞ্জার ব্যবহার করা। হতে পারে তা স্কাইপ (Skype) হতে পারে তা ইয়াহু মেসেঞ্জার (Yahoo Messenger) হতে পারে তা গুগল হ্যাংআউটস (Google Hangouts)। সবগুলোই ব্যবহার করা শিখে নেয়াটাই ভালো। এক এক ক্লাইন্ট এক এক মেসেঞ্জার ব্যবহার করতেই পারে। আপনি হয়তোবা তাদেরকে বলতে পারবেন না যে এই মেসেঞ্জার আমি ব্যবহার করতে পারি না, আপনি অন্য মেসেঞ্জার এ কথা বলুন। আর মেসেঞ্জার ব্যবহার বলতে শুধু চ্যাট করাকে বুঝানো হয়নি। সাধারণত প্রতিটি মেসেঞ্জার এই কিছু আলাদা ফিচার থাকে। যেমন স্ক্রিন শেয়ার করা, ভয়েস বা ভিডিও চ্যাট ইত্যাদি। এগুলোর সবই কোন না কোন সময় প্রয়োজন পরতে পারে। তাই এগুলোতে কিভাবে কি করতে হয় তা শিখে নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং এই বেপারগুলো / কাজগুলো যদি আপনার জানা থাকে, তাহলে আপনি একটু চেষ্টা করলেই ইন্টারনেট থেকে ইনকাম শুরু করতে পারেন। আমরা ফ্রীলেন্সিং এর উপর কমপ্লিট ২০টিরও অধিক কোর্স তৈরি করেছি। যেখানে বর্তমানে ব্যাপক চাহিদা আছে এমন ১৮টি ভিন্ন ভিন্ন কাজ শিখানো হয়েছে। আর এই সব কাজগুলো শিখানো হয়েছে বেশ কিছু Secret tools + Software দিয়ে। যার জন্য আপনি খুব অল্প সময়ে কাজগুলো ভালভাবে করতে পারবেন।
আর আমরা সবাই জানি যে, Fiverr একটি খুব জনপ্রিয় ফ্রীলেন্স মার্কেটপ্লেস। যেখানে প্রচুর বায়ার আছে, যারা কিনা আপনাকে আপনার সার্ভিস নেয়ার জন্য অর্ডার দিবে। আর কোর্সে fiverr, freelancer & upwork সহ বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে অ্যাকাউন্ট ফুল সেটাপ করা, বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ কাজে এপ্লাই করার টিপস, সিক্রেট এবং বিডিং টেকনিক একদম হাতে কলমে শিখানো হয়েছে। শুধু তাই না, আপনার ফ্রীলেন্সিং ক্যারিয়ারকে অন্য লেভেলএ নিয়ে যাওয়ার জন্য দেয়া হয়েছে বেশ কিছু সিক্রেট টিপস অ্যান্ড ট্রিকস।
✓কোর্সের মেয়াদঃ ৪ মাস, ✓ক্লাসের সময়: সপ্তাহে ৩ দিন, ২ ঘন্টা করে। #ক্লাশ টাইম: সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত (যেকোন ২ ঘন্টা চয়েস করতে পারবেন)। যেকোন সমস্যা ফেইস করলে ইন্সট্রাক্টর ছাড়াও নাইট ইনচার্জ, ডে ইনচার্জ ও সাপোর্টটীমের সাপোর্ট পাবেন সবসময়। তাই আপনার ফ্রীলেন্সিং এর সপ্নের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারে অল আইটি বিডি’র কোর্সটি। √ #একবার ভর্তি হওয়ার পর আপনার ইনকাম না হওয়া পর্যন্ত অল আইটি বিডি’তে পরবর্তী ব্যাচে বিনা খরচে আবারো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন।
আমি ক্লাস 10 পড়ি . . আমিকি ওয়েব ডিছাইন ডেভলপ কোর্স করতে পাড়ি আমার বাসা ঠাকুরগাও রানিসংকেল